যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি খাতে ছাঁটাইয়ের শিকার হাজার হাজার ভারতীয়
<![CDATA[
যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি খাতে ছাঁটাই বা চাকরিচ্যুতির শিকার হয়েছেন হাজার হাজার ভারতীয়। চাকরি হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। অনেককেই দেশে ফিরে যেতে হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
করোনা মহামারি ও এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতি এখন টালমাটাল। ফলে গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজনের মতো বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলো হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। এতে কাজ হারিয়েছে হাজার হাজার ভারতীয় কর্মী।
এখন শর্ত মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাকরি জোগাড় করতে না পারলে তাদের ওয়ার্কিং ভিসা বাতিল হবে। এ নিয়ে বিপাকে ভারতীয় কর্মীরা। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদন মতে, গত নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত দুই লাখ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কাজ হারিয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই ভারতীয় কর্মী। যাদের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি করছে এইচ-১বি বা এল১ ভিসায়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বছরের শুরুতেই ৩৬টি বন্দুক হামলা, নিহত ৫৯
সাধারণত বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন সংস্থাগুলোকে অনুমোদন দেয় এইচ-১বি ভিসা। এই ভিসার মাধ্যমে সংস্থাগুলো চীন, ভারতের মতো দেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দেয়। এল-১এ, এল-১বি ভিসার মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে ম্যানেজার বা অন্য শীর্ষ পদের জন্য কর্মী নিয়োগ করে এসব সংস্থা।
যে সকল ভারতীয়রা এইচ-১বি, এল-১এ ভিসায় যারা যুক্তরাষ্ট্রে গেছে, তাদের অনেকেই এখন বেকার। অন্যদিকে চাকরি হারানোর ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরি না পেলে বাতিল হবে ভিসা। ফলে উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে বহু ভারতীয় পরিবার।
আরও পড়ুন: গবেষণায় বয়স কমে গেল ইঁদুরের, মানুষের ক্ষেত্রেও কি সম্ভব?
এ বিষয়ে সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তা অজয় জৈন ভুতোরিয়া বলেন, হাজার হাজার ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী, বিশেষত এইচ-১বি ভিসায় আসা কর্মী চাকরি হারাচ্ছেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। চাকরি হারানোর ৬০ দিনের মধ্যে নতুন কাজ না পেলে তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
এতে কর্মীদের পাশাপাশি তাদের পরিবারও বিপাকে পড়ছে। তাদের সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে অভিবাসন দফতরের কাছে এইচ-১বি ভিসার শর্ত বদলানোরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও মার্কিন সরকার এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। অনেক ভারতীয়কেই দেশে ফিরে যেতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
]]>