ময়মনসিংহে প্রথমবারের মতো ক্যাট শো অনুষ্ঠিত
<![CDATA[
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রংয়ের বিড়াল নিয়ে ময়মনসিংহ প্রথমবারের অনুষ্ঠিত হলো ক্যাট শো অ্যান্ড ফটো কনটেস্ট। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দিনব্যাপী নগরের জয়নুল আবেদীন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে এই শো অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ পেট ক্লিনিক এন্ড রিসার্চ সেন্টারের আয়োজন এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় এই শো’র আয়োজন করা হয়।
৪০টি স্টলে বিভিন্ন রকমের বিড়াল দেখতে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ভিড় জমান। এতে তুলতুল, ক্যান্ডি, জেসপার, মনা, পাম্পকিন, পুচু- এরকম বাহারি নামের পোষা বিড়ালের প্রদর্শন হয়।
শোতে বিড়ালের ভ্যাকসিনেশন, সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিভিন্ন সাজসজ্জা উপকরণ বিক্রি এবং ফটোসেশনের ব্যবস্থা ছিল। বিড়াল লালন পালনে উৎসাহিত করতে এবং পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ আয়োজকদের।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ব্যতিক্রমী বিড়াল প্রদর্শনী ও র্যাম্প শো
আয়োজকরা বলেন, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা। আর্থিক উন্নতির পাশাপাশি মানুষ নিজের মানসিক প্রশান্তির উদ্দেশ্যে পালন করছে বিভিন্ন প্রজাতির পোষাপ্রাণী। যাদের মাধ্যমে মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ও মানবিক গুণাবলি প্রকাশ পাচ্ছে। মানুষের এই প্রশান্তির ধারক ও বাহকের মধ্যে বিড়াল অন্যতম।
মেলায় অংশগ্রহণকারী আখি বলেন, একজন পশুপ্রেমী হিসেবে আমি বিড়াল পুষছি। আজকে ক্যাট শোতে এসে খুব ভালো লাগছে। চমৎকার আয়োজন। এমন আয়োজন মানুষকে আরও আগ্রহী করে তুলবে পশুপ্রেমে।
আরও পড়ুন: ৫৫ কোটি বছর আগে কী খেত প্রাণীরা, জানা গেল গবেষণায়!
অপর অংশগ্রহণকারী মিতু বলেন, এক বছর ধরে আমি বিড়াল পুষছি। আমার ছেলেমেয়েদের জন্য পুষছি। কারণ প্রযুক্তির এই সময়ে সন্তানদের মোবাইলসহ অন্য ডিভাইসে আসক্ত না করে জীবেপ্রেম শিখাতে পারলে মনে করি সঠিক শিক্ষা দিতে পারছি। এই জায়গা থেকেই আমি উদ্যোগী হয়ে বিড়াল পুষছি।
শোতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম। তিনি বলেন, পোষাপ্রাণী পালনের মাধ্যমে মানসিক অবসাদ দূর হয়। প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষ পোষাপ্রাণীর সম্পর্কে জেনেছে এবং মানুষের মধ্যে বিড়ালের প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি হয়েছে।
]]>