ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক-ক্ষেপণাস্ত্র দিলে যুদ্ধ হবে অন্য মাত্রায়
<![CDATA[
রাশিয়ার বলেছে, ন্যাটো জোট যদি ইউক্রেনকে বিভিন্ন ধরনের ট্যাঙ্ক এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তা দেয় তবে যুদ্ধ পৌঁছাবে অন্য মাত্রায়। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। খবর রয়টার্সের।
ক্রেমলিনের এই হুঁশিয়ারি এমন সময়ে এল যখন, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ দাতা দেশগুলো ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেয়ার বিষয়ে বৈঠকে বসেছে। বৈঠকে পশ্চিমা দেশগুলি রুশ আক্রমণ মোকাবিলা জন্য ইউক্রেনে আরও শক্তিশালী সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সম্ভবত, এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর অর্থ সংঘাতকে একটি সম্পূর্ণ নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়া যা অবশ্যই বৈশ্বিক এবং প্যান-ইউরোপীয় নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে ভাল কোনো ফলাফল বয়ে আনবে না।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রাশিয়ার জয় অনিবার্য: পুতিন
এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার পরাজয় ঘটলে, পারমাণবিক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে বলে পশ্চিমা জোট ন্যাটোকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রভাবশালী নিরাপত্তা পরিষদের উপচেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মেদভেদেভ। তিনি বলেন, প্রচলিত যুদ্ধে পারমাণবিক ক্ষমতাধর রাশিয়ার পরাজয় ঘটলে তা পারমাণবিক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন মেদভেদেভ। তিনি বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো বড় ধরনের সংঘাতে কখনো হারেনি। কারণ, পারমাণবিক ক্ষমতার ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করে।
মেদভেদেভ আরও বলেন, ন্যাটো এবং পশ্চিমের অন্যান্য প্রতিরক্ষা নেতারা শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) জার্মানির রামস্টেইন বিমানঘাঁটিতে বৈঠকে মিলিত হয়ে যুদ্ধের কৌশল ও ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরাজিত করার পশ্চিমের প্রচেষ্টার সমর্থনের ব্যাপারে কথা বলবেন। তবে তাদের নীতির ঝুঁকির বিষয়েও চিন্তা করা উচিত।
]]>