২৫ বছর পর হারিয়ে যাওয়া বাবাকে ফিরে পেলেন সন্তানরা

<![CDATA[
দীর্ঘ ২৫ বছর পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিনা পাসপোর্টে গত শুক্রবার রাতে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন আবুল কাশেম। বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেননি তিনি। কেবল চট্টগ্রামের দুটি এলাকার কথা ও তিন ছেলের নাম বলতে পেরেছিলেন ।
পরে সঠিক ঠিকানা না পাওয়ায় আবুল কাশেমকে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কাছে হস্তান্তর করে বিমানবন্দর পুলিশ। এরপর পাঁচদিনের চেষ্টায় তার পরিবারের সন্ধান মেলে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) আবুল কাশেমকে তার সন্তানদের কাছে হস্তান্তর করেছে ব্র্যাক।
আবুল কাশেমকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরার ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানিয়ে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, আবুল কাশেম সম্ভবত ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত। স্ত্রী ও তিন ছেলের নাম বলতে পারলেও ঠিকানা মনে করতে পারছিলেন না। বলেছিলেন, ঈদগাহ মাঠের বউ বাজার এলাকায় তার ছেলের তরকারির দোকান আছে।
তিনি জানান, আঞ্চলিক ভাষা শুনে বুঝতে পেরেছিলাম তার বাড়ি চট্টগ্রাম অঞ্চলে। ব্র্যাক তার ছবিসহ শত শত পোস্টার চট্টগ্রামে বিলি করে। তা দেখে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সহযোগিতায় আবুল কাশেমের ছেলে সবজি ব্যবসায়ী নূর হাসানের খোঁজ মেলে। পরে আবুল কাশেমের অন্য সন্তান ও তার স্ত্রীর সন্ধান পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা সদস্যের পরিবারকে ঘর উপহার
রাজধানীর উত্তরার ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন আবুল কাশেমের বড় ছেলে নূর হাসান বাবাকে ফিরে পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অনেকদিন ধরে বাবার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ছিল না। জানতাম না তিনি সৌদির কোথায় আছেন। তিনি যে দেশে এসেছেন, তাও জানতাম না।
বাবাকে নিতে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন আবুল কাশেমের স্ত্রী-সন্তানরা। তার মেয়ে পারভীন আক্তার বলেন, বাবা ২৫ বছর আগে সৌদি আরব যায়। তখন আমার ছোট বোন রুমা মায়ের পেটে। বাবার সঙ্গে আমাদের স্মৃতি খুব কম। বাবাকে ফেরত পাওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।
এসময় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপক স্কোয়াড্রন লিডার মো. রাসেল তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
]]>
Source link